চন্গী ডং থিয়েন হাউ চার্চ : টেরিটিবাজারের একমাত্র হাক্কা মন্দির (Choonghee Dong Thien Haue Church : The only Hakka Temple in Tiretta Bazar)
টেরিটিবাজার অঞ্চলে যে কয়টি চাইনিজ মন্দির আছে, তার মধ্যে দুটো মন্দিরে ঢুকতে পারা খুব চাপের! তার মধ্যে দ্বিতীয়টি হলো চন্গী ডং থিয়েন হাউ চার্চ (Choonghee Dong Thien Haue Church)। ইংরেজী ১৮৫৮-৫৯ সালে তৈরী এই চার্চের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, টেরিটিবাজারের অন্যান্য চীনে চার্চগুলো মূলতঃ ক্যান্টনিজদের হলেও, এটি একটি হাক্কাদের চার্চ। মন্দিরটির ঠিকানা 32 Black Burn Lane। তবে এই চার্চটিও খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। যেখানে ব্ল্যাকবার্ন লেন শেষ হচ্ছে এবং ডামজেন লেন শুরু হচ্ছে, সেখানেই রাস্তার ওপরে একটা দোতলা বাড়িতে এই মন্দিরটি।
মন্দিরের প্রবেশদ্বারটি বেশ কারুকার্যময়, আর একটা জিনিষ উল্লেখ্য যে এই গেটে চার্চের নামের ফলকের পাশেই একটা ফুলের ডিজাইন লক্ষণীয়, যা সাধারণত হিন্দু মন্দিরগুলোতে দেখা যায়। দিনের বেলা মন্দিরের একতলাতে রাস্তার কুকুরদের আড্ডা চলতে থাকে (আমি কয়েকবার ঢোকার চেষ্টা করে তাড়া খেয়েছি!) সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠলে মন্দির।
মন্দিরে একটি বারান্দা ও দুটি ঘর আছে, যেখানে প্রচুর চাইনিজ দেব-দেবীর মূর্তি থাকলেও, প্রধান হলেন স্বর্গের দেবী (Tien Hou), সুখ-শান্তির দেব-দেবী (Tu Teh Chun), এবং ভাগ্য দেবতা (Kwan Kun)। মন্দিরের প্রধান ঘর ও বারান্দায় রয়েছে মোজাইক করা বারান্দা, যা ইসলামীয় স্থাপত্যশিল্পের কথা আপনাকে মনে করাবে।
সারা বছর দিনের বেলা এই মন্দির খোলার ঠিক থাকে না। তবে সন্ধ্যাবেলা কোনো কোনো দিন একটা NGO এখানে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ক্লাস করায়, সেই সময় ঢোকা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র:
১. মিস্টার পল ওয়েন, মিস্টার টোনি লি, মিস্টার ওয়াই।
বাহঃ দারুণ লাগল। অনেক ছবি তাই আমাদেরও বাড়ি বসে ঘোরা হয়ে গেল। আচ্ছা ওনারা কেউ প্রার্থনা করতে আসেন না? সপ্তাহের বা বছরের কি কোনো নির্দিষ্ট দিনে সবাই মিলিত হন এখানে? কোলকাতায় সব মিলিয়ে হাক্কা পরিবারে তাও কতজন আছে?
ReplyDelete