Posts

Showing posts from August, 2021

From Kolkata to Italy - Da Calcutta all'Italia : An unforgettable Experience

Image
In celebration of the Festival of Italian Culture in India 2021, The Consulate General of Italy in Kolkata and WBTC has announced a photograohy exhibition... "From Kolkata to Italy Da Calcutta all'Italia" To showcase the similarities between these two Cities.  Photographs by: Rajib De (Kolkata) Alessandro Rosani & Rossana Coslovi (Italy) Exhibition Curated by: Francesca Rosani Timing: 10 AM to 6 PM Location:  1. Esplanade Tram Depot (24th, 25th, 26th Aug 2021) 2. Shyambazar Tram Depot: (27th, 28th, 29th Aug 2021) 3. Gariahat Tram Depot: (30th - 31st Aug, 1st Sept 2021) ****************************************** Visited today and had a very rich experience there. Suggest everyone to visit there.  Also received a small gift from my new friend Steve Stiffle. 😍 #fromkolkatatoitaly

কোলকাতার একমাত্র পার্সিয়ান রাভানগা (Kolkata's Only Persian Ravangah)

Image
পার্সিদের শেষকৃত্য ও 'টাওয়ার অফ সাইলেন্স' নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। যদিও এখন প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে এই প্রথা, কারণ এই শবযাত্রার জন্য বিশেষ লোকজনের অভাব। এখন অনেক ক্ষেত্রেই তাদের দাফন করা হয়, কিংবা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শেষকৃত্যের আগের শবদেহকে কিন্তু বাড়িতে রাখা হয় না। শরীরটা নিয়ে আসা হয় একটা বিশেষ বাড়িতে, যাকে বলে 'রাভানগা'। কেউ যদি মৃতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে চায়, তবে সে এখানেই করতে পারে। তবে হ্যাঁ, মৃতদেহকে স্নান করানোর পরে, কোনো অপার্সিয় লোকজনকে আর তা দেখতে দেওয়া হয় না।  এখান থেকেই শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় 'টাওয়ার অফ সাইলেন্স'-এ।  কোলকাতার একমাত্র 'রাভানগা'টি রয়েছে চাঁদনী চক অঞ্চলের সাকলাত প্লেসে। ১৯৩৩-৩৪ সালে বিখ্যাত পার্সি ব্যবসায়ী মানেকজি রুস্তমজির নামে তৈরী হয়েছিল এই রাভানগাটি, স্থপতি ছিলেন Ardeshir Dinshaw Vehvalval. বর্তমানে এখানে একটি দাতব্য চিকিৎসালয়ও আছে। ঠিকানাটার লোকেশন দেওয়া রইলো। https://maps.app.goo.gl/uyC2ASCoVWCr9dNx7

ইন্ডিয়ান মিরর পত্রিকা ও আর্য কুটির (Indian Mirror Tabloid and Aryan Cottage)

Image
ধর্মতলার লাগোয়া তালতলা অঞ্চলে, একটা রাস্তার নাম ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রীট। লেনিন সরণি দিয়ে এই রাস্তায় ঢুকলেই চোখে পরে একটা সিংহদুয়ার, কোলকাতা মিউনিসিপালিটি যাকে গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ স্ট্রাকচার হিসেবে ঘোষণা করেছে। বর্তমানে শুধু এই সিংহদুয়ারটাই রয়েছে, ভিতরের আসল বাড়িটা আর নেই। বাড়িটার নাম ছিল আর্য কুটির (Aryan Cottage), এবং এর ঠিকানা 52A এবং 52B ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রিট। প্রবেশদ্বারের একটা মার্বেল ফলক থেকে জানা যায়, 'আর্য কুটির'-এ থাকতেন ইন্ডিয়ান মিররের বিখ্যাত সম্পাদক নরেন্দ্র নাথ সেন। এবার আসা যাক 'ইন্ডিয়ান মিরর' সম্পর্কে। বিখ্যাত ব্রাহ্ম নেতা কেশব চন্দ্র সেন এবং তার বন্ধু মনোমোহন ঘোষ (একজন বিখ্যাত ব্যারিস্টার), ১৮৬১ সালে একটি পাক্ষিক হিসাবে ইন্ডিয়ান মিরর শুরু করেন, যা পরবর্তীকালে ১৮৭০ সাল থেকে দৈনিক হয়ে ওঠে। শুরু থেকেই এই দৈনিকে নরেন্দ্রনাথ সেনের (১৮৪৩-১৯১১ খ্রিস্টাব্দ) নিয়মিত অবদান ছিল। পরবর্তীকালে, কেশব সেনের অনুরোধে প্রতাপ মজুমদার (একজন ব্রাহ্ম নেতা) ১৮৬৭ সালে পত্রিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, এবং ১৮৭৯ সাল পর্যন্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন

বজবজের প্রাচীন পরিত্যক্ত বারুদঘর (Old Abandoned Barood Ghar at Budge Budge)

Image
বজবজের অছিপুরে অনেকেই পিকনিক করতে যান। এখানে আছে ভারতের প্রাচীনতম চিনে মন্দির, যা অনেকেরই অজানা। এছাড়াও নদীর ধারে আছে টং আছুর সমাধি। সেগুলো সম্পর্কে আমি আগের ব্লগে লিখেছি ( http://salilhore.blogspot.com/2021/08/chinese-settlement-in-bengal-and-oldest.html) । টং আছুর সমাধিকে ডান হাতে রেখে, নদীর ধারে দিয়ে ১ কিমি মতো এগিয়ে গেলে পরবে মায়াপুর। বাম দিকে দেখা যায় একটা বড়ো মাঠের মধ্যে কিছু পুরোনো বাড়ি ও গুদামঘরের ধ্বংসস্তুপ। জমিটা বর্তমানে কোলকাতা পোর্টের অধীনে। এই ভগ্নস্তুপগুলোকে স্থানীয় লোকজন সিরাজের বারুদঘর বলে। কিন্তু কি এই বারুদঘর? কেনই বা নদীর ধারে এগুলো গড়ে উঠেছিল? এই বিষয়ে লেখার জন্যই এই ব্লগ। সিরাজের সাথে এই বারুদঘরের কোনো সম্পর্ক নেই, বরং আছে কোলকাতা বন্দরের সম্পর্ক। ১৭৭৭ সালে খিদিরপুরে বন্দর গড়ে উঠলে, বৃটিশ অধিকৃত ভারতের বণিকরা তাদের বাণিজ্য-জাহাজগুলো এই বন্দরে নিয়ে আসতে শুরু করে। এমন কি, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী এবং অন্যান্য বিদেশিরা পাল তােলা জাহাজ নিয়ে, এই খিদিরপুর বন্দর থেকে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য শুরু করে। এটা সেই সময়ের কথা বলছি, যখন হুগলি নদীতে মগ দস্যুদের উৎপাত ছি

বাংলায় চিনেদের বসতি স্থাপন ও প্রাচীনতম চিনে কবরের গল্প (Chinese Settlement in Bengal and the Oldest Chinese Grave)

Image
কোলকাতায় চিনেপাড়া বলতেই আমাদের মনে প্রথমে আসে চায়নাটাউনের কথা। আর যারা আরেকটু জানেন, তাদের মাথায় আসে টেরিটিবাজারের কথা। আমাদের জীবনে চা,  চাউমিন, ডেন্টিস্ট, জুতো, আর সূক্ষ্ম কাঠের কাজের অবদান ছাড়াও... একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চিনেদের অবদান আছে, সেটা হলো চিনি (Refined Sugar)। ভাবছেন তো, চিনি তো কবে থেকেই ভারতে ছিল... এর মধ্যে চিনেদের কি অবদান? হ্যাঁ, শর্করা হিসেবে চালু ছিল বটে, কিন্তু পরিশোধিত শর্করার প্রচলন করেন চিনেরাই! তাই সেই উপাদানের নাম হয় 'চিনি' (চিনেদের তৈরী জিনিস বলে)! এর উৎপত্তির সাথে জড়িয়ে আছে টং আছুর নাম, যাকে বলা হয় 'Thongyeng Pakkung (Sugar Plantation Master)। এবার আমরা আসি অবিভক্ত বাংলার চিনেরা কিভাবে এলো, সেই বিষয়ে। এনারা কিন্তু হঠাৎ করে এসে মধ্য-কোলকাতায় বসতি গড়ে তোলেন নি! বাংলায় চিনেদের বসতি প্রথম গড়ে ওঠে বজবজের কাছে হুগলি নদীর তীরে একটা জায়গায়, যার বর্তমান নাম 'অছিপুর'। জায়গাটা কোলকাতা থেকে প্রায় ৩৩ কিমি দূরে। বহুদিন ধরেই চিনেরা ভারতে আসছেন পর্যটক হিসেবে, যাদের মধ্যে হিউ এন সাং (Hieun Tsang) এবং ফা হিয়েনের (Fa Hien) নাম