গুপ্তিপাড়া এবং গুপ্ত বৃন্দাবন: এক ঐতিহাসিক জনপদের স্পন্দন (Guptipara and Gupta Brindaban: The Pulse of a Historic Settlement)
হুগলী জেলার উত্তর-পূর্ব প্রান্তে, বর্ধমানের সীমানায় ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত গুপ্তিপাড়া কেবল একটি জনপদ নয়, এটি বাংলার এক সমৃদ্ধ ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। এই স্থানটি তার প্রাচীনত্ব, সাংস্কৃতিক অবদান, এবং রথযাত্রার জন্য কিংবদন্তীর পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিক্ষা, শাস্ত্রচর্চা, এবং গ্রন্থ রচনার কেন্দ্র হিসেবে এককালে গুপ্তিপাড়া সমগ্র বাংলায় উজ্জ্বল স্থান দখল করে ছিল। পুরীর রথের সঙ্গে তুলনীয় এর সুবিখ্যাত রথ ও রথের মেলা আজও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। প্রায় ১৫০০ শতাব্দীর শেষ দিকে গুপ্তিপাড়া জনপদের সূচনা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। ঐতিহাসিকদের মতে, পান্ডুয়ার রাজা জালালউদ্দিনের শাসনামলে হিন্দুরা দেশত্যাগ করে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এই গ্রাম গড়ে তোলে। মাঝি-মাল্লা, মৎস্যজীবী ধীবর সম্প্রদায়, এবং বৈদ্যরাই (গোপতি বা গুপ্ত) এখানকার আদি বাসিন্দা ছিলেন। লোকমুখে প্রচলিত ছড়াতেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। বিখ্যাত ওলন্দাজ ভূ-পর্যটক জন স্প্লিনটার স্টাভরিনাসের ১৪৭০ খ্রিস্টাব্দের মানচিত্রে গুপ্তিপাড়াকে ভাগীরথীর ডানদিকে দেখা গেলেও, ঐতিহাসিকরা গঙ্গার গতিপথ পরিবর্তনকে এর একমাত্র কারণ হিসেবে মেনে নিয়েছেন। সত্যনারায়ণ কথা এবং ...