Posts

Showing posts from March, 2023

কলকাতা চাইনিজ বৌদ্ধ মন্দির, যশোর রোড (The Calcutta Chinese Buddhist Temple, Jessore Road)

Image
দমদম অঞ্চলে যশোর রোডের ওপরে রয়েছে একটি বাস স্টপ, যার নাম চিনামন্দির। এই নাম শুনেই আমার কৌতুহল হয়েছিল, এখানে নিশ্চই কোনো চিনেদের মন্দির আছে এবং সেটা খুব সম্ভব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য। তাই একদিন সময় করে খোঁজ নিতে গেছিলাম এখানে। বাইরে থেকে দেখলে একটি দোতলা বাড়ি মনে হলেও, ছাদের রেলিং বৌদ্ধ মনাস্ট্রির মতো কারুকার্যপূর্ণ। একতলায় রয়েছে একটি হলঘর এবং চাইনিজে লেখা কিছু দেওয়াল ফলক, যেখানে এই মন্দিরের জন্য যারা অর্থদান করেছেন তাদের নাম চিনে ভাষায় খোদাই করা রয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠলে প্রথমে পরে একটা টানা বারান্দা। অন্যান্য চিনে মন্দিরের মতোই এখানে লাল এবং হলুদ রঙের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। বারান্দার লাগোয়া রয়েছে একটা বড়ো হলঘর এবং সেটাই গর্ভগৃহ। তার মধ্যেই রয়েছে চারটি বিভিন্ন ধরণের বুদ্ধমূর্তি (কাঁচের বাক্সের মধ্যে)। তেরিটি বাজারের চিনে মন্দিরগুলোর মধ্যে যেমন অনেক সূক্ষ্ম কাঠের কাজ দেখা যায়, এখানে এরকম কিছু নেই। মন্দিরসজ্জা একদমই ছিমছাম। এর কারণ হিসেবে আমার মনে হলো, এই মন্দিরটি বয়সের তুলনায় অনেক নবীন। কলকাতা নিবাসী চাইনিজ সম্প্রদায় থেকে ২৫শে ফেব্রুয়া

সেন্ট টেরিজা অব আভিলা চার্চ, কলকাতা (St. Teresa of Ávila Church, Kolkata)

Image
মৌলালির মোড়ে এই লাল রঙের রোমান ক্যাথোলিক চার্চটির ঠিকানা হলো ৯২, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড, কলকাতা-৭০০০১৪। অনেকেই একে মাদার টেরিজার চার্চ ভাবেন, কারণ তিনি এখানের স্কুলের দায়িত্বে ছিলেন ১৯৩৫ সাল নাগাদ। কিন্তু আসলে এটি সেন্ট টেরিজার নামে উৎসর্গীকৃত, যিনি ছিলেন স্পেনের আভিলা (Avilla) শহরের অধিবাসী। ২৮শে মার্চ ১৫১৫ খ্রিস্টাব্দে, এক ধর্মপ্রাণ দম্পতির পরিবারে তার জন্ম হয়, এবং মাত্র একুশ বছর বয়সে তিনি সংসারের মোহ ত্যাগ করে ধর্মজীবনে আত্মনিয়োগ করেন। বর্তমান গির্জাটির ভিত্তিফলক স্থাপিত হয় ২৮শে ডিসেম্বর ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে, যা স্থাপন করেছিলেন কলকাতার প্রথম ক্যাথোলিক বিশপ গোয়েথেল। তার আগে এই জায়গাটিতে ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেন্ট টেরিজা চ্যাপেল। গির্জাটি খুবই সুন্দর এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এর ভিতরে আছে যীশুর জীবনের ওপরে ভিত্তি করে সাজানো অনেকগুলো ছবি। সাথে দেওয়াল জুড়ে সাজানো আছে ১৪টি কাহিনীর ওপরে একটি প্রদর্শনী।  বর্তমানে গির্জার ভক্তমন্ডলীর সংখ্যা পনেরো হাজারের বেশি। এখানে বাংলা এবং ইংরেজি দুটি ভাষাতেই প

পথের পাঁচালীর শ্যুটিং স্পট এবং জোড়া শিবমন্দির বোড়াল (Pather Panchali Shooting Spot and Twin Shiv Temples, Boral Garia)

Image
গড়িয়াতে বোড়াল একটি অতি প্রাচীন জনপদ। এখানে অনেক প্রাচীন মন্দির আছে, সাথে আছে সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সিনেমা 'পথের পাঁচালী'র শুটিংয়ের জায়গাটি। আমার অনেকদিন আগের একটি ব্লগে আমি এখানকার বিখ্যাত ত্রিপুরসুন্দরী মন্দিরের বিষয়ে লিখেছিলাম। আজকের এই ব্লগে আমি লিখছি বোড়ালের অন্য একটা জায়গা নিয়ে। ১৯৫৫ সালের ২৬শে আগস্ট মুক্তি পেয়েছিল 'পথের পাঁচালী'। বাংলা সিনেমাকে ছকের গণ্ডি পেরিয়ে হাঁটার অভ্যেস করিয়েছে এই সিনেমা। আর এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমরা আপ্লুত হয়ে যাই অহরহ। শ্যুটিং হয়েছিল এখানকার বকুলতলা নামের একটি জায়গায়। ঠিক কোন জায়গাটা শ্যুটিং হয়েছিল, সেটা স্থানীয় লোকজন ছাড়া বিশেষ কেউ বলতে পারেন না। এর কারণ হলো প্রচুর নতুন লোক এসেছেন এই অঞ্চলে। কিন্তু গুগলে এই জায়গাটা নির্দিষ্ট করা আছে, তাই আমি সেটা ধরেই পৌঁছেছিলাম। সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলাম, অনেক বাঁক ঘুরে সত্যজিৎ রায়ের একখানা আবক্ষ মূর্তির কাছে পৌঁছে বুঝলাম, এসে গেছি সিনেমার তীর্থস্থানে। এখানে বলে রাখি, যিনি এত পারফেকশনিস্ট ছিলেন, তাঁর মূর্তিটা অনেক কষ্টকল্পনা করেই চিনতে হল! এই মূর্তির লাগোয়া রয়েছে অপু-দূর্গ