চিংড়িখালি দূর্গ, ডায়মন্ড হারবার : এক ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্থাপত্যের জনশ্রুতি ও সত্যতার গল্প (Chingrikhali Fort, Diamond Harbour : The Myth and Truth behind a Ruined Architecture)
আজ যে জায়গাটার কথা আমি বলছি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অঞ্চলটা পিকনিক স্পট আর উইকেন্ড ডেস্টিনেশন হিসেবে বাঙালিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়! আমাদের মধ্যে প্রায় সকলেই কোনো না কোনো সময়ে এখানে গেছেন, বিশেষতঃ দক্ষিণ কোলকাতার অধিবাসীরা। অঞ্চলটা হলো ডায়মন্ড হারবার, যা ছিল এক সময়ে সুন্দরবনের অন্তর্গত, এবং পুরোনো নাম ছিল হাজীপুর। ইংরেজ আমলে সুন্দরবনে কিছু নতুন বন্দর বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ডায়মন্ড হারবার উল্লেখযোগ্য। এবার ফিরে আসি বর্তমানে। এখানে যে পিকনিকের জায়গাটি রয়েছে, তার কাছেই রয়েছে একটি ভাঙা দূর্গ, যার কয়েকটা ভাঙা দেওয়াল শুধু বর্তমান, বাকিটা নদীগর্ভে ভাঙনের কবলে অবলুপ্ত হয়েছে। দূর্গটি কতটা বড়ো ছিল, সেটা বোঝা যায় নদীর তীরে বহুদূর পর্য্যন্ত ছড়িয়ে থাকা ভাঙা কেল্লার ইঁটের ছোট ছোট টুকরোর বিস্তৃতি দেখলে। এই দূর্গটা সম্পর্কে জনশ্রুতি রয়েছে, সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজ জলদস্যুরা এটি তৈরি করে, লুটের মাল রাখার জন্য। পরবর্তীকালে ইংরেজরা এটি সারিয়ে নিয়ে ব্যবহার করে, এবং নদীর পাড় ভাঙনের সাথে সাথে, এই দুর্গটি পরিত্যক্ত হয়। wikimapia তেও দেখলাম এই দূর্গ পর্তুগিজদের তৈরি বলেই উল...