Posts

Showing posts from June, 2024

কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস, ভবানীপুর কবরখানা (Commonwealth War Graves, Bhawanipore Cemetery)

Image
SSKM হাসপাতালের যে গেটটা রেসকোর্সের পাশে আছে, তার পাশ দিয়ে দেবেন্দ্র লাল খান রোড (Debendra Lal Khan Road) গেছে ভবানীপুরের দিকে। এই রাস্তা দিয়ে যদি আমরা ভবানীপুরের দিকে হেঁটে যেতে থাকি, তবে ১৫ নাম্বারে এসে ডান হাতে দেখা যায় একটা উঁচু পাঁচিল ঘেরা কবরখানা, যার গেটের ওপরে লেখা আছে - "BHAWANIPORE CEMETERY - 1907". ১৮৬৪ সালে মূলত ফোর্ট উইলিয়ামের সামরিক অধিবাসীদের জন্য এই কবরখানা তৈরি হলেও, পরবর্তীকালে এখানে অসামরিক লোকজনকেও সমাধিস্থ করা হতে থাকে। এই কবরখানার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলো আমার অন্য একটা ব্লগ রয়েছে, সুবিধামতো সেটা পড়ে নিতে পারেন সেখানে। আমি এই ব্লগে আলোচনা করবো এখানকার কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস নিয়ে।  কবরখানা মূল প্রবেশপথ দিয়ে কিছুটা ঢুকে, সোজা ২০০ মিটার মতো গেলে একটা লোহার জালের রেলিং দিয়ে ঘেরা বর্গাকার জায়গা আছে। এখানে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকদের কবরগুলো রয়েছে। কলকাতায় একমাত্র এখানেই আপনি সাজানো অবস্থায় সৈনিকদের সমাধি দেখতে পারেন।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতায় বহু বিদেশী সৈনিকের আগমন ঘটে। এখানে

রাধা গোবিন্দ কুঞ্জ মন্দির : গিরিবালা দাসীর ঠাকুরবাড়ি, আগরপাড়া (Radha Govinda Kunja Temple : Giribala Dasi Thakurbari, Agarpara)

Image
বি টি রোডের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে হুগলি নদী। এর দুই তীরে গড়ে উঠেছে বহু মন্দির। দক্ষিণেশ্বর থেকে  ব্যারাকপুর পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে সেই মন্দিরগুলো। এর মধ্যে আগরপাড়া-সোদপুর-পানিহাটি অঞ্চলে রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির, যে মধ্যে কিছু কিছু হেরিটেজ তকমা পেলেও, অনেক মন্দির লাইমলাইটে আসে নি। সেগুলোর মধ্যেই একটা নিয়ে বলবো আজকে।  আগরপাড়া অঞ্চলে, নদীর তীরে রয়েছে একটি সুপ্রাচীন ঠাকুরবাড়ি... যার সাথে জড়িয়ে আছে গিরিবালা দাসীর নাম। রাণী রাসমণির জ্যেষ্ঠা কন্যা পদ্মামণির নাত-বৌ ছিলেন গিরিবালা দাসী। তিনি ছিলেন রূপে লক্ষ্মী, গুণে অসামান্যা। অকালে তাঁর তিন পুত্র এবং স্বামী গোপালকৃষ্ণ গত হবার পরে, অন্তরের শোক-তাপ নিয়েই তিনি সৎকার্য্যে মনোনিবেশ করেন। তাঁর প্রাতস্মরণীয়া দিদি-শাশুড়ী রাণী রাসমণির পদাঙ্ক অনুসরণ করে, ১৩১৮ বঙ্গাব্দে ১৮ই জ্যৈষ্ঠ (১লা জুন ১৯১১ ইং) বৃহস্পতিবার তিনি এই ঠাকুরবাড়ি পত্তন করেন। এর নাম তিনি রাখেন 'রাধা গোবিন্দ কুঞ্জ মন্দির'। এই ঠাকুরবাড়ি তৈরী করতে খরচ হয়েছিল প্রায় তিন লক্ষ টাকা। স্থপতি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার গগনচন্দ্র বিশ্ব