Posts

Showing posts from May, 2024

সুরিনাম ঘাট ও মেমোরিয়াল, মেটিয়াবুরুজ : ইতিহাসের একটা হারানো অধ্যায় (Suriname Ghat & Memorial, Metiaburz : A Forgotten History)

Image
মেটিয়াবুরুজের খ্যাতি মূলত নবাব ওয়াজিদ আলী শাহের জন্য। কিন্তু খুব কম মানুষ জানেন, এই এলাকার মাটি একসময় ভিজেছে নিরীহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের চোখের জলে, যাদের নিরুপায় হয়ে পাড়ি দিতে হয়েছিল সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে।  এখানকার CESC Southern Generating Station এর মধ্যে দিয়ে একটা খুব পুরোনো ঘাটে যাওয়া যায় (পারমিশন করিয়ে নিতে হয় CESC গেটে)। এই ঘাটটি এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে 'বালু ঘাট' নামেই পরিচিত। ঘাটটি প্রচারের আলোয় উঠে আসে ২০১৫ সালে। ওই বছরের ৭ই অক্টোবর, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আসেন মেটিয়াবুরুজের বালুঘাট তথা সুরিনাম ঘাটে। সুরিনাম ও ভারতের স্মৃতি বিজড়িত অ্যালুমিনিয়ামের মাই বাপ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করলেন। আমরা এই ব্লগে জেনে নেব, সেই লাঞ্ছনার ইতিহাস। কিন্তু সেটার সম্পর্কে জানতে হলে, আমাদের আগে জানতে হবে সুরিনাম সম্পর্কে।  সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশের নাম হলো সুরিনাম। মূলতঃ কৃষি নির্ভর এই দেশটির ইতিহাস ঘাঁটলে পাওয়া যায়, ষোড়শ শতকের শেষের দিকে ডাচ, ফরাসি ও ইংরেজ বণিকেরা সুরিনামের (পূর্বতন নাম ওলন্দাজ গায়ানা) উপকূলে বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন করে। পর

আর্মেনিয়ান হোলি চার্চ অফ নাজারাথ, কোলকাতা (Armenian Church of the Holy Nazareth, Kolkata)

Image
মরুভূমির মধ্যে মরুদ্যান দেখলে বেশ চমৎকার লাগে তো? ঘিঞ্জি বড়োবাজারের গলিগুলোর মধ্যে থেকে, হঠাৎ করে এই গির্জাটার মধ্যে ঢুকলে আপনার সেইরকম অনুভূতি হবে! প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য, কোলকাতার প্রাচীনতম গির্জা এটা। আজকে যেখানে গড়ে উঠেছে এই চার্চ, সেটা ছিল আদপে আর্মানীদের সমাধিক্ষেত্র।  কোলকাতায় আর্মেনিয়ানদের ইতিহাস সুপ্রাচীন। ১৬৮৮ খ্রীষ্টাব্দে সুরাটের এক আর্মানী বণিক খোজা ফানুস কালান্টর, আরেক ব্যবসায়ী ও তার ভাগ্নে খোজা ইসরায়েল সরহদকে সাথে নিয়ে, ইংল্যান্ডে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ডিরেক্টর বোর্ডের চেয়ারম্যান জোসিয়া চাইল্ডের সাথে দেখা করেন। এখানে একটা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার সাহায্যে আর্মানীরা ভারতে ব্যবসার ও ধর্মচর্চার কিছু সুবিধা পায়।  “Whenever forty or more of the Armenian nation shall become inhabitants in any of the garrisons, cities, or towns, belonging to the Company in the East Indies, the said Armenians shall not only have and enjoy the free use and exercise of their religion, but there shall also be allotted to them a parcel of ground to erect a church thereon…." এই চুক্তি অনুয