Posts

Showing posts from January, 2024

কোলকাতার গৌড়িবাড়ী অঞ্চলের কিছু বিখ্যাত জৈন মন্দির (Some Famous Jain Temples of Gouri bari, Calcutta)

Image
বাংলায় জৈন ধর্মের মানুষের আগমন হয়েছিল ইংরেজ আমলের অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এদের মধ্যে যে ব্যাবসায়ী শ্রেণী ছিল, কোলকাতায় তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে ইংরেজ আমলেই। এরা মূলত সকলেই অর্থবান, এবং এসেছেন ভারতের পশ্চিম অংশ থেকেই। শুরুতে এনাদের মূল ব্যাবসা-সামগ্রী ছিল হীরা, জহরত, কাপড় এবং নুন। এই কারণেই কোলকাতায় গৌরীবাড়ী অঞ্চলে যে জৈন মন্দিরগুলো দেখা যায়, সেখানে ঐশ্বর্য্য ও বৈভবের প্রকাশ ভীষণ রকম পরিলক্ষিত হয়। আমরা এই ব্লগে দেখে নেবো এমনি চারটে মন্দির।  ১. শ্রী শ্রী শীতলনাথ স্বামী মন্দির এবং বাগান: এই মন্দিরটি আলোচ্য চারটি মন্দিরের মধ্যে সবথেকে দৃষ্টিনন্দন। ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দে এই মন্দিরটি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন বিখ্যাত হিরা-জহরত ব্যবসায়ী এবং তৎকালীন জৈন সমাজের গোষ্ঠীপতি রায় বদ্রীদাস বাহাদুর মুকিম। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে দশম তীর্থঙ্কর শীতলনাথজির মানিক্যখচিত শ্বেতপাথরের মূর্তি। সম্পূর্ণ শ্বেতপাথরের তৈরী এই মন্দিরে রয়েছে কাঁচ ও বর্ণময় পাথরের তৈরী অসংখ্য নকশা, এবং গর্ভগৃহের সামনে রয়েছে বিদেশি রঙিন টাইলস। এছাড়াও রয়েছে ১০৮ টি শাখা সহ বেলজিয়াম কাঁচের একটি ঝাড়লন্ঠন। মন্দির চত্বরে

বটানিক গার্ডেন এবং ভারতীয় উদ্ভিদবিদ্যার জনকের গল্প (Botanic Garden and the Father of Indian Botany, William Roxburgh)

Image
হাওড়া শিবপুর অঞ্চলে হুগলি নদীর তীরে বটানিক গার্ডেনের নাম তো ভারত বিখ্যাত। সাধারণভাবে বলা হয়, এ উদ্যান প্রতিষ্ঠার কৃতিত্বের অধিকারী ফোর্ট উইলিয়ামের সামরিক বিভাগের তৎকালিন সচিব, শৌখিন উদ্ভিদবিদ কর্নেল রবার্ট কিড (১৭৪৬-১৭৯৩)। ব্রিটিশ কোম্পানি শাসনামলে ১৭৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানের আনুষ্ঠানিক নাম ছিল The Hon’ble Company’s Botanic Garden, Calcutta। ১৯৫০ সালে গার্ডেনের নতুন নামকরণ হয় ‘ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেন, হাওড়া’। বর্তমানে এর নাম আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসুর নামে।  রবার্ট কিড ছিলেন এই উদ্যানের প্রথম সুপারিনটেনডেন্ট। কাইডের মূল উদ্দেশ্য ছিল, অর্থনৈতিক লক্ষ্যে একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করা... যেখানে দারুচিনি, ঢাকা কটন, নীল, তামাক, কফি, চন্দন,  মরিচ, চা ইত্যাদি চাষ করা হবে। কিন্তু পরিকল্পনা অনুযায়ী জায়ফল, লবঙ্গ, দারুচিনি, মরিচ ইত্যাদি চাষের প্রয়াস সফল হয় না কারণ, এসব বিষুবীয় প্রজাতির গাছপালার জন্য এ স্থানের জলবায়ু মোটেই অনুকূল ছিল না। বিষুবীয় অঞ্চলের ফল এবং ইউরোপীয় নাতিশীতোষ্ণ ফল চাষেরও চেষ্টা চলে, কিন্তু তাও ব্যর্থ হয়। তবে উদ্যানে তিনি বিপুল সংখ্যক গাছপা