Posts

Showing posts from December, 2023

মতিলাল শীলের ঠাকুরবাড়ি, বেলঘরিয়া (Motilal Seal's Thakurbari, Belgharia)

Image
ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোডের ওপরে, একটা জায়গার নাম রথতলা (জায়গাটা কামারহাটি পৌরসভা ভবনের কাছে)। এখানেই রাস্তার ওপরে একটা বাগান দিয়ে ঘেরা ঠাকুরবাড়ি রয়েছে, যায় সাথে জড়িয়ে আছে পুরনো কলকাতার বিখ্যাত ব্যাবসায়ী বাবু মতিলাল শীলের নাম। জায়গাটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলার আগে, একটু জেনে নেওয়া যাক মতিলাল শীল সম্পর্কে। ১৭৯২ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম হয় মতিলাল শীলের। মুখের সোনার বা রুপোর চামচ নিয়ে জন্ম হয় নি তার। বাবার একটা ছোট কাপড়ের ব্যাবসা ছিল, কিন্তু মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই তিনি পিতৃহীন হন। চূড়ান্ত অভাবের মধ্যে বড়ো হলেও, মতিলাল ছিলেন বুদ্ধিমান এবং করিৎকর্মা। ১৮১৫ নাগাদ তিনি ফোর্ট উইলিয়ামে কাজে যোগ দিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করার বরাত পান। এরপর নিজ ক্ষমতা আর বুদ্ধিবলে আস্তে আস্তে উন্নতি করতে থাকেন। নীল, চিনি, কাপড়, চাল এই সব চেনার এবং পরখ করার ক্ষমতার জন্য তৎকালীন বেশ কিছু এজেন্সি তাঁকে ‘বেনিয়ান’ হিসাবে নিয়োগ করেন। অর্থ উপার্জনের সাথে সাথে, তিনি অনেক সামাজিক সংস্কারের কাজ করেন। বিধবা বিবাহের সমর্থন, ফ্রি কলেজ নির্মাণ এবং মেডিক্যাল কলেজ তৈরীর জন্য ১২০০০ টাকার অনুদান

উত্তরপাড়া জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী : এশিয়ার প্রথম পাবলিক লাইব্রেরী (Uttarpara Jaykrishna Library: The First Public Library of Asia)

Image
হুগলি জেলার একটি বিশিষ্ট জনপদ হলো উত্তরপাড়া। হাওড়ার শেষ উত্তরে বালিগ্রাম এখন শহর। তার লাগোয়া উত্তরে বালিখাল পেরিয়ে হুগলি জেলার প্রথম শহরটি উত্তরপাড়া । শহরের পত্তনের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারের জনক লক্ষীকান্ত রায়চৌধুরীর বড় ছেলের নাতি রত্নশ্বের রায়চৌধুরী, শেওড়াফুলির জমিদার মনোহর রায়ের কাছ থেকে ১৭০৯ খ্রিষ্টাব্দে চকবালির উত্তরাংশ কিনে পত্তন করেন উত্তরপাড়া। এই উত্তরপাড়ায় রয়েছে একটি বিরাট বড়ো পাবলিক লাইব্রেরি, যার পত্তন করেছিলেন এখানকারই বিশিষ্ট জমিদার এবং সমাজ সংস্কারক জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়। এটি ভারতের প্রথম এবং সম্ভবতঃ এশিয়ার প্রথম বিনামূল্যে জনসাধারণের জন্য গ্রন্থাগার। লাইব্রেরীর বিষয়ে আরো বলার আগে, জেনে নেওয়া যাক জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্কে। ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে আগস্ট উত্তরপাড়ায় এক সাধারণ পরিবারের তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে কিছুদিন হিন্দুস্কুলে পড়াশোনা করলেও, পিতার কর্মসূত্রে মাত্র ৮ বছর বয়সেই তিনি মিরাটে চলে যান এবং রেজিমেন্ট স্কুলে জয়েন করেন। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে হুগলির ভূমি রাজস্ব বিভাগের রেকর্ড রক্ষকের চাকরীতে নিযুক্ত হন এবং