কলকাতা ঘোড়সওয়ার পুলিশের সংগ্রহশালা (The Kolkata Mounted Police Museum)
কলকাতার ময়দান অঞ্চলে গেলে দেখা যায়, ঘোড়ায় চড়ে কিছু খাকি ইউনিফর্ম পরা পুলিশ টহল দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এনাদের ঘোড়সওয়ার পুলিশ বা Mounted Police বলা হয়। কোলকাতা কর্পোরেশনের বিল্ডিঙের উল্টোদিকে, এস. এন. ব্যানার্জি রোডে আছে এনাদের সদর দপ্তর। ইতিহাস ঘাঁটলে পাওয়া যায়, ঘোড়সওয়ার পুলিশ দপ্তরের জন্ম হয়েছিল ১৮৪০ সাল নাগাদ, ব্রিটিশদের হাতে। তখন একজন দফাদারের (Head Officer) অধীনে ছিলেন দুজন ঘোড়সওয়ার, যাদের কাজ ছিল দূরে নদীতে কোনো জাহাজ দেখা গেলে, ঘোড়া ছুটিয়ে গিয়ে হারবার মাস্টারকে খবর দেওয়া। ১৮৪২ সালের থেকে ময়দান এলাকাটি টহল দেবার জন্য এদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পত্তনের সময় থেকে শুধু দেশীয় লোকেরাই এখানে চাকরি পেতেন, কিন্তু ১৯০৫ সালে এই দলে পাঁচজন ইউরোপিয়ান কনস্টেবলকে নেওয়া হয়েছিল, শহরের অন্যান্য জায়গাতেও টহল দেবার জন্য। তখন পুরো বাহিনী ছিল ২০ জন সদস্যের।
স্বাধীনতার পরে ধীরে ধীরে আরো বড়ো হতে থাকে এই বাহিনী। বর্তমানে এখানে আছেন একজন ইন্সপেক্টর, একজন সার্জেন্ট মেজর, ১২ জন সার্জেন্ট, একজন জে সি ও, ৫ জন সর্দার ঘোড়সওয়ার, ৮৫ জন ঘোড়সওয়ার এবং ৯৮ জন সহিস। এনাদের ইউনিফর্ম হলো খাকি পোশাক ও সাদা হেলমেট। এখন ময়দানে টহল ও শৃঙ্খলা রাখার পাশাপাশি ইডেনের ক্রিকেট মাঠে ডিউটিতে থাকে ঘোড়সওয়ার বাহিনীর। কারণ, মাঠে অন্য যানবাহন নিয়ে ঢোকা যায় না। জমায়েত, ভিড় ও উত্তেজিত লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে ঘোড়াকে কাজে লাগানো হয়। কোনও ভিভিআইপি এলে হেলিপ্যাডে ডিউটি পড়ে। রাজভবনে বিশেষ অতিথিকে এসকর্ট করা হয়, এবং গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্যারেড, মহরম ও বিভিন্ন ধর্মীয় শোভাযাত্রা, ইদের নামাজ, রেড রোডের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব থাকে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়সওয়ার পুলিশের।
এনাদের সদর দফতরের ভিতরে আছে একটি ছোট মিউজিয়াম, যেটা ২০২১ সালের ২৮শে ডিসেম্বর উদ্বোধন হলেও, তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে নি প্রচারের অভাবে। এখানে ঘোড়াদের জন্য ব্যবহার করা বিভিন্ন ধরণের দড়ি, গলায় ঝোলানো ছোলার বস্তা, জিন, এবং নাল বানানোর উপকরণ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সাথে ঘোড়সওয়ার পুলিশের ইতিহাস ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পাওয়া মেডেল ও ট্রফিগুলো এখানে সাজানো রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিটে যে ঘোড়ার ছবি রয়েছে, সেগুলোও এখানে প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত (সোমবার বাদ দিয়ে গেলে ভালো হয়) খোলা থাকে এই মিউজিয়াম। গেটে যে পাহারাদাররা থাকেন, তাদের থেকে বিশেষ কোনো সাহায্য পাওয়া যায় না, বরং সার্জেন্টদের বসার ঘরে গেলে তারা গাইড করে দেন। মিউজিয়াম ভবনে যাবার সময় দুদিকে ঘোড়ার জল খাবার চৌবাচ্চা এবং আস্তাবলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তাই বেশ রোমাঞ্চ বোধ হয়।
স্বাধীনতার পরে ধীরে ধীরে আরো বড়ো হতে থাকে এই বাহিনী। বর্তমানে এখানে আছেন একজন ইন্সপেক্টর, একজন সার্জেন্ট মেজর, ১২ জন সার্জেন্ট, একজন জে সি ও, ৫ জন সর্দার ঘোড়সওয়ার, ৮৫ জন ঘোড়সওয়ার এবং ৯৮ জন সহিস। এনাদের ইউনিফর্ম হলো খাকি পোশাক ও সাদা হেলমেট। এখন ময়দানে টহল ও শৃঙ্খলা রাখার পাশাপাশি ইডেনের ক্রিকেট মাঠে ডিউটিতে থাকে ঘোড়সওয়ার বাহিনীর। কারণ, মাঠে অন্য যানবাহন নিয়ে ঢোকা যায় না। জমায়েত, ভিড় ও উত্তেজিত লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে ঘোড়াকে কাজে লাগানো হয়। কোনও ভিভিআইপি এলে হেলিপ্যাডে ডিউটি পড়ে। রাজভবনে বিশেষ অতিথিকে এসকর্ট করা হয়, এবং গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্যারেড, মহরম ও বিভিন্ন ধর্মীয় শোভাযাত্রা, ইদের নামাজ, রেড রোডের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব থাকে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়সওয়ার পুলিশের।
এনাদের সদর দফতরের ভিতরে আছে একটি ছোট মিউজিয়াম, যেটা ২০২১ সালের ২৮শে ডিসেম্বর উদ্বোধন হলেও, তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে নি প্রচারের অভাবে। এখানে ঘোড়াদের জন্য ব্যবহার করা বিভিন্ন ধরণের দড়ি, গলায় ঝোলানো ছোলার বস্তা, জিন, এবং নাল বানানোর উপকরণ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সাথে ঘোড়সওয়ার পুলিশের ইতিহাস ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পাওয়া মেডেল ও ট্রফিগুলো এখানে সাজানো রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিটে যে ঘোড়ার ছবি রয়েছে, সেগুলোও এখানে প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত (সোমবার বাদ দিয়ে গেলে ভালো হয়) খোলা থাকে এই মিউজিয়াম। গেটে যে পাহারাদাররা থাকেন, তাদের থেকে বিশেষ কোনো সাহায্য পাওয়া যায় না, বরং সার্জেন্টদের বসার ঘরে গেলে তারা গাইড করে দেন। মিউজিয়াম ভবনে যাবার সময় দুদিকে ঘোড়ার জল খাবার চৌবাচ্চা এবং আস্তাবলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তাই বেশ রোমাঞ্চ বোধ হয়।
এখানে ঢুকতে কি বিশেষ কোন পারমিশন লাগে ? আরফটো তোলার অনুমতি আছে কি মোবাইল কেমেরাতে।
ReplyDelete