Posts

Showing posts from March, 2020

কোলকাতার প্রাচীনতম স্কটিশ চার্চ, আর সম্মানের লড়াইয়ের গল্প (Calcutta's Oldest Scottish Church and story of ego clash)

Image
বাঙালির পুরোনো অফিসপাড়া হলো ডালহৌসি স্কোয়ার অঞ্চল, অধুনা বি.বি.ডি. বাগ। এই অঞ্চলের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে একটি শ্বেতশুভ্র চার্চ, যার সামনে আছে ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রীট, বামদিকে রাইটার্স বিল্ডিং, আর ডানদিকে লালবাজার। চার্চটির নাম সেন্ট এন্ড্রুজ চার্চ (St Andrew's Church, also known as the Kirk), ঠিকানা ১৫নং বি.বি.ডি. বাগ, কোলকাতা - ৭০০ ০০১ । সেন্ট এন্ড্রুজ ছিলেন প্রভু যীশুর ১২ জন শিষ্যদের মধ্যে একজন। যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া এবং ফিরে আসার কিছুদিন পরে, সেন্ট এন্ড্রুজ বেরিয়ে পরেছিলেন প্রভুর বার্তা প্রচার করতে। অনেক জায়গা ঘুরে, করিন্থ উপসাগরের তীরে পাট্রাস নগরে এসে, তিনি ধর্মপ্রচারে বাধাপ্রাপ্ত হন, এবং ওনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় (ক্রুশে বিদ্ধ করে)। কথিত আছে, স্কটল্যান্ডের এক মন্দিরে তার অস্থি রাখা হয়, এবং স্কটল্যান্ডের অধিবাসীরা ওনাকে নিজেদের গুরু না সন্তরূপে (Patron Saint) গ্রহণ করে। এবার এই চার্চের পত্তনের গল্পে আসা যাক। রেভারেন্ড ডক্টর জেমস ব্রাইস (Rv. Dr. James Brice) কোলকাতায় প্রথম স্কটল্যান্ডের প্রোটেস্টান্টদের সংগঠন শুরু করেন, ইংরেজি ১৮১৫ খ্রিস্টাব

নিমতলা আর নিয়ামাতুল্লা ঘাট মসজিদের গল্প (The story of Nimtala and Niyamathullah Ghat Mosque)

Image
আজ থেকে অনেক বছর আগের কথা। কলকাতা তখনো আজকের কোলকাতা হয় নি। হুগলীনদীর গতিপথও ছিল অন্য। আজকে জোড়াবাগান চারমাথার ক্রসিংয়ের (Jorabagan Four Point Crossing) থেকে নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের (Nimtala Ghat Street) দিকে এলে যে অষ্টাদশ শতাব্দীর আনন্দময়ী কালীমন্দির (Anandamayi Kali Temple) আছে, তার কাছেই বয়ে যেত গঙ্গা। মন্দিরসংলগ্ন অঞ্চলেই গঙ্গার উপরে ছিল সেখানকার ধর্মপ্রাণ জমিদার মহম্মদ রমজান আলীর (Muhammad Ramzan Ali) এক পূর্বপুরুষ নিয়ামাতুল্লার (Niyamathullah) তৈরি ঘাট, যা তখনকার হিন্দু ও মুসলমানরা দুজনেই ব্যবহার করতো। এদের পরিবার এই অঞ্চলে এসেছিলেন বহু আগে, তাদের অনেক পরে হাটখোলার দত্তরা এই অঞ্চলে থাকতে শুরু করেন। সেদিনটার সকালটা ছিল অন্যদিনের মতোই। তর্করত্নমহাশয় তার দুই ছাত্রের সাথে গঙ্গাস্নান সেরে, গঙ্গার ঘাটে আহ্নিকে বসেছেন। লোকজন স্নান সেরে ফিরে যাচ্ছে। এমন সময় রমজান আলীর বাড়ির কিছু বাচ্চা ছেলে এলো চান করতে, সাথে বাড়ীর পুরোনো ভৃত্য ফজলু। কিছুক্ষণ নদীতে হুটোপাটি করার পর ছেলেগুলো নিজেদের মধ্যে জল ছোঁড়াছুড়ি করতে লাগলো। কিন্তু অসাবধানতা-বশতঃ, সেই জলের ছিটে গিয়ে লাগলো আহ্নিকে মগ্ন তর্করত্নমহাশয়দের