Posts

Showing posts from June, 2020

ফাস্টফুডের দোকান আর কোলকাতার তিনটি বিখ্যাত বিদেশি ফাস্টফুডের গল্প (Fast-food Stalls and story of three famous foreign fast foods of Kolkata)

Image
আমি দক্ষিণ কোলকাতার কুদঘাট অঞ্চলের বাসিন্দা। নিজের যে ছোটবেলার সময়টায় কথা বলছি, তখন কুদঘাট হয়ে ওঠেনি 'নেতাজি মেট্রো স্টেশন', সেটা ছিল শুধুই একটা প্রান্তিক বাস ডিপো। বাস ডিপোটা তখন আজকের মতো এতো ঝকঝকে ছিল না। বাসরাস্তার ধারেই আছে টালিনালা (আজ তার উপরে হয়েছে মেট্রোরেলের স্টেশন), যা বর্তমানে খালের রূপ নিয়েছে । এই খালের ধারে সারবেঁধে ছিল অনেকগুলো ফুডস্টল... নিচে একটা কাঠের বাক্স, আর তার ওপরে কাঠের ফ্রেমে ছাদ করে, সামনে একটা ঘোলাটে কাঁচ দিয়ে কিছুটা আবরণ দেওয়া। আমরা এদের ডাকতাম রোল চাউএর দোকান বলে। সন্ধ্যা হলেই দোকানগুলো সামনে একটা উজ্জ্বল বাল্ব ঝুলিয়ে আর রাস্তায় কয়েকটা বেঞ্চ পেতে, সেজে উঠতো রোজকার বিক্রি-বাট্টার জন্য। পাড়ার চাকরি না পাওয়া ছেলেটা, সারাদিন খেটে আসা পাশের পাড়ার মন্টুদা, অথবা রিটায়ারমেন্ট হয়ে যাবার পরে বাড়িতে খাবারের বিধিনিষেধ টপকে রাস্তার খাবারের স্বাদ নিতে আসা বিভাসজেঠু এসে বেঞ্চে বসে বলতেন - "কই রে বিল্টু, দে তো এক প্লেট এগ চাউ!" কখনো বা ডিপোতে ফিরে আসা ২০৮ বাস থেকে কন্ডাক্টরকাকু নেমে এসে হাঁক দিতেন - "জলদি দুটো এগরোল বানা, বাস ছেড়ে দিত

কোলকাতার পার্সি অগ্নি-মন্দিরগুলোর গল্প (The Parsi Fire Temples of Kolkata)

Image
বউবাজার অঞ্চলটা আমার বেশ প্রিয়, কারণ চিৎপুরের রাস্তার পরেই, এর গায়েও একটা কসমোপলিটন গন্ধ আছে। ইংরেজ আমল থেকেই এই রাস্তার আশে-পাশে বাঙালিদের সাথেই গড়ে উঠেছে আংলো ইন্ডিয়ান, চাইনিজ ও পার্সিদের বসতি। অনেকেই জানেন না, এখানে রয়েছে পার্সিদের একটি ধর্মশালা ও একটি অগ্নিমন্দির, যদিও দুটি একটু দূরত্বে অবস্থান করে। আজ আমি এই অগ্নিমন্দিরের কথা বলবো। তবে, তার আগে কোলকাতাতে কিভাবে পার্সিরা এলো, আর এই পার্সিদের ধর্মই বা কি... সেটা আগে সংক্ষেপে বলে নেওয়া দরকার। সবার আগে বলি, পার্সিদের নাম হয়েছিল তাদের আদি বাসস্থান দক্ষিণ ইরানের পার্স (বা ফার্স) প্রদেশ থেকে। জন্মভূমিতে ধর্মাচরণের বিরোধিতা, এবং আরবদের ক্রমাগত আক্রমণের কারণে তাদের মধ্যে একদল একদিন বেরিয়ে পড়ে নিজের দেশ ছেড়ে, ভারতের গুজরাটে এসে পৌঁছায় সপ্তম শতকের মাঝে। তৎকালীন গুজরাটের হিন্দুরা তাদের মেনে নেয়, এবং পার্সিরা এখানে থাকতে শুরু করে। সময়ের সাথে সাথে পার্সিরা ভারতের মূলস্রোতে মিশে যেতে থাকে, এবং ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য অংশে। কোলকাতাতে প্রথম পার্সি হিসেবে নাম পাওয়া যায় দাদাবয় বেরামজী বানাজীর (Dadaboi Beramjee Banajee)। ১৭৬৭ সাল নাগাদ