এক পশুদরদী সাহেব ও এশিয়ার প্রাচীনতম পশুপীড়ন নিবারণী প্রতিষ্ঠানের গল্প (Colesworthey Grant and Calcutta Society for the Prevention of Cruelty to Animals)
একদিন জলদি অফিস ছুটির পরে যাচ্ছিলাম পি.জি. হাসপাতালে নিজের একটা কাজে। ক্যাথিড্রাল রোড পেরিয়ে একাডেমির সামনে আসতেই, একটা টিনএজার মেয়ে ছুটে এসে হাতে একটা লিফলেট ধরিয়ে দিয়ে গেল! তাকিয়ে দেখলাম, এটা PETA (People for the Ethical Treatment of Animals) এর কাগজ। কাগজটা ব্যাগে ঢুকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে পড়লো, এই যে বিশ্বব্যাপী পশুদের উপরে অত্যাচারের বিরুদ্ধে এতো আন্দোলন, আমাদের এশিয়া মহাদেশে এর শুরুটা হয়েছিল কিন্তু খোদ আমাদের কোলকাতাতেই। এক সাহেব ভদ্রলোক শুরু করেছিলেন যুদ্ধটা। আজকের রাইটার্স বিল্ডিঙের সামনে দিয়ে লালবাজারের দিকে হেঁটে যেতে, বামদিকে সেনাছাউনির পাশে অবস্থিত একটি সাদা স্মৃতিস্তম্ভ সেই ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গল্পটা জানতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে। কোলকাতায় তখন নিয়মিত বিদেশ থেকে লোকজন আসছে নিজেদের ভাগ্যসন্ধানে। সেরকমই একদিন এসে পৌঁছাল স্কটিশ-আইরিশ বংশজ ১৯ বছরের একটি ছেলে, তার বড়োভাই জর্জের ঘড়ির ব্যবসায় কাজ শিখতে। আজকে ডালহৌসির যেখানে স্টিফেনস হাউস, সেখানেই ছিল ওদের ঘড়ির দোকান। ছেলেটির আঁকার হাত ছিল খুব ভালো। তাই ঘড়ির নকশা করতে করতে, সে অঙ্কনে দক্...