Posts

Showing posts from April, 2020

এক পশুদরদী সাহেব ও এশিয়ার প্রাচীনতম পশুপীড়ন নিবারণী প্রতিষ্ঠানের গল্প (Colesworthey Grant and Calcutta Society for the Prevention of Cruelty to Animals)

Image
একদিন জলদি অফিস ছুটির পরে যাচ্ছিলাম পি.জি. হাসপাতালে নিজের একটা কাজে। ক্যাথিড্রাল রোড পেরিয়ে একাডেমির সামনে আসতেই, একটা টিনএজার মেয়ে ছুটে এসে হাতে একটা লিফলেট ধরিয়ে দিয়ে গেল! তাকিয়ে দেখলাম, এটা PETA (People for the Ethical Treatment of Animals) এর কাগজ। কাগজটা ব্যাগে ঢুকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে পড়লো, এই যে বিশ্বব্যাপী পশুদের উপরে অত্যাচারের বিরুদ্ধে এতো আন্দোলন, আমাদের এশিয়া মহাদেশে এর শুরুটা হয়েছিল কিন্তু খোদ আমাদের কোলকাতাতেই। এক সাহেব ভদ্রলোক শুরু করেছিলেন যুদ্ধটা। আজকের রাইটার্স বিল্ডিঙের সামনে দিয়ে লালবাজারের দিকে হেঁটে যেতে, বামদিকে সেনাছাউনির পাশে অবস্থিত একটি সাদা স্মৃতিস্তম্ভ সেই ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গল্পটা জানতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে। কোলকাতায় তখন নিয়মিত বিদেশ থেকে লোকজন আসছে নিজেদের ভাগ্যসন্ধানে। সেরকমই একদিন এসে পৌঁছাল স্কটিশ-আইরিশ বংশজ ১৯ বছরের একটি ছেলে, তার বড়োভাই জর্জের ঘড়ির ব্যবসায় কাজ শিখতে। আজকে ডালহৌসির যেখানে স্টিফেনস হাউস, সেখানেই ছিল ওদের ঘড়ির দোকান। ছেলেটির আঁকার হাত ছিল খুব ভালো। তাই ঘড়ির নকশা করতে করতে, সে অঙ্কনে দক্

পুরোনো কোলকাতার এক জমিদার, এবং কোলকাতার কৈলাসধামের গল্প (Story of an old Zamindar and Bhukailash Rajbari)

Image
খিদিরপুর বলতেই আমাদের মনে আসে ফ্যান্সি মার্কেট, ভিড় রাস্তা, লোহার কন্টেনার বহনকারী ট্রেলার, আর কোলকাতা পোর্ট! কিন্তু অনেকেই জানেন না, এখানে আজ থেকে প্রায় আড়াইশ বছর আগে, ছিলেন এক মানবদরদী ও প্রতাপশালী জমিদার, যিনি তার জনহিতকর কাজের জন্য বিখ্যাত ছিলেন, আর কয়েকটি মন্দিরের মাধ্যমে গড়ে তুলেছিলেন মর্ত্যভূমিতে কৈলাস। খিদিরপুর ট্রামডিপোর উল্টোদিকের রাস্তায় আছে একটি নবনির্মিত উঁচু প্রবেশদ্বার। সেখান দিয়ে ঢুকে, অপরিচ্ছন্ন এক রাস্তা দিয়ে এঁকে বেঁকে গিয়ে, পৌঁছাতে হয় ভূকৈলাশ রাজবাড়িতে (Bhukailash Rajbari)। আজকের গল্প এই বাড়ির এক প্রতাপশালী জমিদার, জয়নারায়ণ ঘোষালকে (Maharaja Joy Narayan Ghoshal) নিয়ে। ভূকৈলাস রাজবংশের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা জয়নারায়ণ ঘোষাল, যার জন্ম হয় ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে, গড়গোবিন্দপুর অঞ্চলে (বর্তমানে ফোর্ট উইলিয়ামের অঞ্চল)। ওনার পিতামহ কন্দর্প ঘোষাল ছিলেন আদপে হাওড়ার বাকসারা গ্রামের বাসিন্দা। নবাবের অধীনে চাকরি করা ছাড়াও, নুনের ব্যবসা ছিল কন্দর্প ঘোষালের। পরবর্তীকালে ইংরেজরা গোবিন্দপুরে ফোর্ট উইলিয়াম তৈরির কাজ শুরু করলে, তারা প্রথমে বাকসারা চলে যান, ও পরে খিদিরপুরে এসে পাকা