হুগলি ইমামবাড়া, হুগলি জেলা (Hooghly Imambara, Hooghly District)
হুগলি জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে হুগলি নদী। এই প্রাচীন জেলায় কলোনি স্থাপন করেছিল ফ্রেঞ্চ, ড্যানিশ এবং পর্তুগিজরা। এখানে হুগলি স্টেশনের কাছে রয়েছে হাজি মহম্মদ মহসিনের তৈরি একটি বিরাট আকারের ইমামবাড়া, যার কথা সম্ভবত ভ্রমণপিপাসু মানুষমাত্রই জানেন। এর সাথে, এটি বিখ্যাত পৃথিবী বিখ্যাত একটি ঘড়ির জন্য। ইমামবাড়ার প্রবেশদ্বারের উপর রয়েছে একটি বড় চূড়া, যার উচ্চতা প্রায় ১৫০ ফুট,সেই চূড়ায় ওঠার জন্য দুইদিকে রয়েছে দুটি সিঁড়ি; আর চূড়ার মাঝ বরাবর অবস্থিত সেই বিস্ময়কর ঘড়ি। লেখাটা শুরুর আগে, ইমামবাড়ার বিষয়ে একটু পরিষ্কার ধারণা দেওয়া দরকার। ইমামবাড়া শব্দের সোজাসুজি মানে হয়, ইমামের বাড়ি। কিন্তু ভারত উপমহাদেশে, ইমামবাড়া বলতে বোঝায় শিয়া-মুসলিমদের মিলনস্থল, যেখানে তারা জমা হয়ে নামাজ পড়তে পারেন এবং ধর্মীয় আচার পালন করতে পারেন। মসজিদের সাথে এখানেই ইমামবাড়ার তফাৎ; কারণ মসজিদে সবাই নামাজ পড়তে পারেন, আর ইমামবাড়া শুধু শিয়াদের জন্য। এবার আসা যাক এই ইমামবাড়ার প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের বিষয়ে। তবে তার আগে জানতে হবে ইরানিয়ান ব্যবসায়ীরা কিভাবে ভারতে নিজে